আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে উদ্ধারে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত লোকজন ঘূর্ণিঝড়ের মতো শক্তিশালী বাতাসে নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধে কী করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন। খবর এএফপির।
গত সাত দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহর ভয়াবহ বিপর্যয়ের ক্ষত নিয়ে ধুঁকছে। দাবানলে এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আগুনের কারণে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
তবে এত কিছুর পরও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লড়াইও থেমে নেই। লোকালয়ে দাবানলের শিখা ছড়িয়ে পড়ার পর স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ধীরে ধীরে সেগুলো আবার খুলছে আর লস অ্যাঞ্জেলেসবাসীর প্রিয় লেকারস বাস্কেটবল টিম তাদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি সেরে।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার কর্মকর্তাদের নতুন সতর্কতায় আবারও সমস্যা নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, শক্তিশালী ‘সান্তা আনা’ বাতাস আবারও ধেয়ে আসছে অঙ্গরাজ্যটির দিকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এই অঞ্চলে খুবই জটিল ‘আগুনে বাতাসের’ মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আর এটা বজায় থাকতে পারে আগামী বুধবার পর্যন্ত। ইতোমধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেনচুরা কাউন্টিতে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ধরনের বিপজ্জনক ও চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতি আগুন নেভানোর কাজকে আরও কঠিনই করে তুলছে না, পাশাপাশি তা নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনাও তৈরি করতে পারে।
দাবানলে প্যালিসেডসে ইতোমধ্যে ২৪ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। এখানকার ১৪ শতাংশ এলাকার আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে, তবে সীমান্ত এলাকায় এখনও আগুন জ্বলছে।