আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দাদের মিসর ও জর্ডানের আশ্রয় দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া পুরো গাজা উপত্যকাকে খালি করার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি।
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে হাজারো মানুষের প্রাণহানি ও চরম মানবিক সংকটে থাকা গাজার জন্য এটা সাময়িক নাকি স্থায়ী সমাধান, ট্রাম্পের কাছে এটা জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হতে পারে।’
শনিবার এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আপনারা সম্ভবত ১৫ লাখ মানুষের কথা বলছেন এবং আমরা পুরো জায়গাটিই খালি করে ফেলব।’
তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মিসর ও জর্ডান। এমনকি ফিলিস্তিনের সরকারসহ দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও ট্রাম্পের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর রয়টার্স।
ইতিমধ্যে জর্ডানে লাখো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। মিসরেও হাজারো ফিলিস্তিনি তাঁবুতে বসবাস করেন। মিসর, জর্ডান ও অন্যান্য আরব দেশ গাজার ফিলিস্তিনিদের তাদের দেশে সরিয়ে নেওয়ার ট্রাম্পের চিন্তাভাবনা খারিজ করে দিয়েছে। গাজা ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে থাকতে চাইছেন।
মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের জমি ও পবিত্র স্থানগুলো ছাড়বে না। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম এএফপিকে বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা এ ধরনের প্রকল্পগুলোকে বানচাল করবেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কায়রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভূমিতে বসবাসের প্রতি অবিচল সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছে।